রিতা পাল মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত হয়ে নিজ পুকুরে মাছ চাষ শুরু করলেন। তিনি সম্পূরক খাদ্য প্রস্তুত করে পুকুরে যথাযথভাবে প্রয়োগ করেন এবং মাছের উৎপাদন বাড়াতে সফল হন। তার সফলতা দেখে এলাকার অন্য চাষিরা নিয়মিত সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করলেন।
রিতা পাল মৎস্য অধিদপ্তর হতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন।
মাছ চাষে কেবল প্রাকৃতিক খাদ্য যথেষ্ট নয়, পাশাপাশি সম্পূরক খাদ্য দিতে হয়। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে রিতা পাল মানসম্মত ও নির্ধারিত খাদ্য উপাদানসমূহ সংগ্রহ করে সম্পূরক খাদ্য প্রস্তুত করেন। মাছ সাধারণত দিনের বেলায় খাবার গ্রহণ করে। এজন্য তিনি পুকুরে মাছের একদিনের প্রয়োজনীয় খাবারকে সমান দু'ভাগে ভাগ করে এক ভাগ সকালে এবং অন্য ভাগ বিকালে দেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পুকুরের চারপাশে ৩-৪টি স্থানে তিনি খাবার দেন। ফলে খাদ্যের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত হয়। নিয়মিত সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করে তিনি অধিক ঘনত্বে পোনা ও বড় মাছ চাষ করতে এবং অল্প সময়ে সুস্থ-সবল পোনা উৎপাদনে সক্ষম হন। কেননা সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগে মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, মৃত্যুর হার হ্রাস পায় ও দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে।
এভাবে রিতা পালের পুকুরে মাছের উৎপাদন বেড়ে যায়, ফলে তিনি সফলতা লাভ করেন।