সফিক সাহেব তার বন্ধু রফিকের জমিতে উন্নত জাতের নতুন গম দেখে চাষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। পরবর্তী মৌসুমে চাষের জন্য তিনি তার বন্ধুর নিকট থেকে বীজ সংগ্রহ করলেন। বীজগুলোর আর্দ্রতা পরীক্ষা করার জন্য ১০০ গ্রাম বীজ নিয়ে বীজের সম্পূর্ণ আর্দ্রতা বের করে ওজন নিয়ে ৯০ গ্রাম ওজন পেলেন। এরপর অঙ্কুরোদগম ও সতেজতা পরীক্ষা করে সন্তুষ্ট চিত্তে গমের আবাদ করে কাঙ্ক্ষিত ফলন পান।
সফিক সাহেব গমের আবাদ করার জন্য বীজের আর্দ্রতা, অঙ্কুরোদগম ও সতেজতা পরীক্ষা করেন।
সফিক সাহেবের বীজ পরীক্ষার কার্যক্রমটি তার সচেতনতার পরিচয় বহন করে। এই সচেতনতার কারণেই তিনি ভালো মানের বীজ বপন করে কাঙ্ক্ষিত ফলন পান। মূল জমিতে বপনের পূর্বে তিনি বীজের আর্দ্রতা পরীক্ষা করে নেন। গমের ক্ষেত্রে বীজের আর্দ্রতা ১২-১৩% রাখা ভালো। বীজের আর্দ্রতার হার যত বেশি হবে বীজের গজানোর ক্ষমতা ও তেজ ততই হ্রাস পাবে। তাই বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা ও জীবনীশক্তি বাড়াতে উপযুক্ত আর্দ্রতায় শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর তিনি বীজের অঙ্কুরোদগম ও সতেজতা পরীক্ষা করেন। নমুনা বীজের শতকরা যতটি বীজ গজায় তাই বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা। ভালো বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা থাকে প্রায় ৮০% এর উপরে। অপরদিকে বীজের সতেজতা হলো প্রতিকূল পরিবেশে বীজের অঙ্কুরিত হওয়ার ক্ষমতা।
বীজের সতেজতা ও অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা কাঙ্ক্ষিত মানের না হলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে না।
পরিশেষে বলা যায়, সফিক সাহেব উল্লিখিত পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে বীজের মান নির্ধারণ করে উন্নত বীজ ব্যবহার করতে সক্ষম হন এবং কাঙ্ক্ষিত ফলন পান। অর্থাৎ, তার বীজ পরীক্ষার কার্যক্রমটি যথার্থ ছিল।