সফিক সাহেব তার বন্ধু রফিকের জমিতে উন্নত জাতের নতুন গম দেখে চাষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। পরবর্তী মৌসুমে চাষের জন্য তিনি তার বন্ধুর নিকট থেকে বীজ সংগ্রহ করলেন। বীজগুলোর আর্দ্রতা পরীক্ষা করার জন্য ১০০ গ্রাম বীজ নিয়ে বীজের সম্পূর্ণ আর্দ্রতা বের করে ওজন নিয়ে ৯০ গ্রাম ওজন পেলেন। এরপর অঙ্কুরোদগম ও সতেজতা পরীক্ষা করে সন্তুষ্ট চিত্তে গমের আবাদ করে কাঙ্ক্ষিত ফলন পান।
বীজ থেকে আর্দ্রতা বের করে দিয়ে তাতে কতটুকু আর্দ্রতা আছে তা নির্ণয় করার পদ্ধতিকে বীজের আর্দ্রতা পরীক্ষা বলে।
সফিক সাহেবের সংগ্রহকৃত নমুনা বীজের ওজন = ১০০ গ্রাম। আর্দ্রতা বের করার পর ওজন = ৯০ গ্রাম।
সুতরাং, সফিক সাহেবের বীজের আর্দ্রতার হার
= নমুনা বীজের ওজন – নমুনা বীজ শুকানোর পর ওজন/নমুনা বীজের ওজন × ১০০
অতএব, সফিক সাহেবের বীজের আর্দ্রতার হার ছিল ১০%।