বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল পরিচিতি

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী | - | NCTB BOOK
1.3k
1.3k

এশিয়ার বিশেষ অঞ্চল

  • সেভেন সিস্টার্স - ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে সেভেন সিস্টার্স বলা হয়। রাজ্যগুলো হচ্ছে, আসাম, ত্রিপুরা মেঘালয়, মনিপুর, মিজোরাম, অরুনাচল, নাগাল্যান্ড।
  • গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল - মায়ানমার, লাওস ও থাইল্যান্ড সীমান্তে অবস্থিত আফিম মাদক উৎপাদনকারী অঞ্চল ।
  • গোল্ডেন ক্রিসেন্ট - আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ইরান, সীমান্তে অবস্থিত আফিম মাদক উৎপাদনকারী অঞ্চল । 
  • গোল্ডেন ওয়েজ - বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল সীমান্ত যা মাদক পাচার ও চোরা চালানের জন্য বিখ্যাত।
  • গোল্ডেন ভিলেজ - বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার ২৬ টি গ্রামকে গাঁজা উৎপাদনের জন্য গোল্ডেন ভিলেজ বলা হয়।
  • ইন্দোচীন - লাওস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামকে ইন্দোচীন বলা হয়।
  • থ্রি-টাইগার - জাপান, জার্মানি ও ইতালি ।
  • ফোর টাইগার – দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সিংগাপুর, হংকং।
  • সুপার সেভেন- মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড + ফোর টাইগার (দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সিংগাপুর, হংকং)
  • ইস্ট এশিয়ান মিরাকল - জাপান + সুপার সেভেন।

 

পৃথিবীর বিভিন্ন বিশেষ অঞ্চল 

  • মাইক্রোনেশিয়া- নিরক্ষ রেখার নিকটবর্তী দ্বীপ সমূহ এর অন্তর্গত। যথা: ক্যারোলিন দ্বীপসমূহ, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, পরিবাতি, নাউরু, ওসিয়াম।
  • মেলোনেশিয়া- ফিজি, ভানুয়াতু, পাপুয়া নিউগিনি, বিসমার্ক, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, সান্তাক্রুজ দ্বীপপুঞ্জ, নিউক্যালিডোনিয়া,  নিউগিনি।  
  • পলিনেশিয়া- সমোয়া ট্রুভ্যালু, কুক দ্বীপপুঞ্জ, টোঙ্গা, ইস্টার, তাহিতি। 
  • আরব উপদ্বীপের রাষ্ট্রসমূহ - সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইন, ইয়েমেন।
  • মান্টিক রাষ্ট্র সমূহ- লিথুনিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া। 
  • বলকান রাষ্ট্র সমূহ- বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, আলবেনিয়া, গ্রীস, সার্বিয়া, যুগোস্লাভিয়া, মেসিডোনিয়া, স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, হাঙ্গেরী। 
  • স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সমূহ- আইসল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড।
  • পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ- বাহামা, কিউবা, হাইথি, ডোমিনিক প্রজাতন্ত্র, গ্রানাডা, বার্বাডোজ, সেন্ট লুসিয়া, জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো।
  • সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন - ১৯৯১ সালে ডিসেম্বরে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে ১৫ টি রাষ্ট্র গঠিত হয়। রাশিয়া, ইউক্রেন, কাজাকিস্তান, উজবেকিস্তান, বেলারুশ, আজারবাইজান, মলদোভা, জর্জিয়া, লিথুয়ানিয়া, কিরগিজস্তান, তাজাকিস্তান, আর্মেনিয়া, লাটভিয়া, তুর্কমেনিস্তান, এস্তোনিয়া ।
  • সাবেক চেকোশ্লাভিয়া - ১ জানুয়ারি ১৯৯৩ সালে ভেঙ্গে চেক প্রজাতন্ত্র ও শ্লোভাকিয়া নামে দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
  • সাবেক যুগোশ্লাভিয়া - ১৯৯২ সালে ভেঙ্গে ৬ টি প্রজাতন্ত্র : সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, শ্লোভেনিয়া, মন্টিনিগ্রো, বসনিয়া- হার্জেগোভিনা, মেসিডোনিয়া।
  • মধ্যপ্রাচ্য - ১৮ টি রাষ্ট্র নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য গঠিত। মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ আদিবাসী ককেশীয়। আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কাতার, ওমান, ইয়েমেন, সৌদি আরব, জর্ডান, সিরিয়া, প্যালেস্টাইন, ইসরাইল, লেবানন, তুরস্ক, সাইপ্রাস ও মিশর দেশগুলো নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য গঠিত।
  • ওরিয়েন্টাল অঞ্চল - ওরিয়েন্ট অর্থ পূর্ব। ওরিয়েন্টাল অঞ্চল বলতে পৃথিবীর পূর্ব অংশের দেশসমূহকে বোঝায়। যথা জাপান, চীন, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, তাইওয়ান, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মায়ানমার, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ।

 

হস্তান্তরিত কয়েকটি অঞ্চল

  • ওকিনাওয়া-  যুক্তরাষ্ট্র জাপানকে মালিকানা হস্তান্তর করে- ১৯৭২ সালে ।
  • দিয়াগো গার্সিয়া- এ ঘাঁটি বৃটেন যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তান্তর করে- ১৯৭৪ সালে ।
  • সুবিক বে- যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের নিকট হস্তান্তর করে- ১৯৯২ সালে ।
  • হংকং- বৃটেন চীনকে হস্তান্তর করে- ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই ।
  • পানামা খাল -  যুক্তরাষ্ট্র পানামাকে হস্তান্তর করে- ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ।
  • ম্যাকাও- পর্তুগাল চীনকে হস্তান্তর করে- ১৯৯৯ সালের ২০ ডিসেম্বর ।

 

কয়েকটি বিখ্যাত দ্বীপ/অঞ্চল

  •  চীনে মুসলমানদের একটি পবিত্র স্থান- নিঙ্গাসিয়া হুই।
  • চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মুসলিম অধ্যুষিত একটি এলাকা- জিনজিয়াং ।
  •  বেলজিয়ামের একটি বিখ্যাত স্থান নেপোলিয়ান যেথায় পরাজিত হন- ওয়াটার-লু গ্রামে। 
  •  ভারতে শিখ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম স্থানের নাম- অমৃতস্বর, পাঞ্জাব।
  • রাশিয়ার অধীনে মুসলিম অধ্যুষিত একটি প্রজাতান্ত্রিক রাজ্য- চেচনিয়া ।
  • পাকিস্তানে বৌদ্ধ সভ্যতার বিখ্যাত কেন্দ্র- তক্ষশীলা, পাঞ্জাব।
  • শ্রীলংকায় মুসলিম অধ্যুষিত একটি দ্বীপ- মান্না দ্বীপ ।
  • ফিলিপাইনে মুসলিম অধ্যুষিত একটি দ্বীপ- মিন্দানাও ।
common.content_added_and_updated_by

হর্ন অব আফ্রিকা

968
968
common.please_contribute_to_add_content_into হর্ন অব আফ্রিকা.
common.content

সেভেন সিস্টার্স

1.1k
1.1k

'Seven Sisters' বা সাত বোন বলতে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যকে বোঝানো হয়, যা তাদের ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক, এবং সাংস্কৃতিক সাদৃশ্যের কারণে এই নামে পরিচিত হয়েছে।

উত্তর-পূর্ব ভারতের সপ্তভগিনী রাজ্যসমূহ

উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও মেঘালয় এই সাত পার্শ্ববর্তী রাজ্য একত্রে সপ্তভগিনী রাজ্য, সাত বোন রাজ্য বা সেভেন সিস্টার্স নামেও পরিচিত। এই সাত রাজ্যের মধ্যে জাতিগত ও ধর্মীয় বৈচিত্র্য থাকা সত্ত্বেও অনেক আগে থেকেই এরা রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সদৃশ । 

 এই সাতটি রাজ্য ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস এবং বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। এবার প্রতিটি রাজ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক:

1. অরুণাচল প্রদেশ

  • অবস্থান ও সীমানা: অরুণাচল প্রদেশ উত্তর-পূর্ব ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত। এটি উত্তরে চীন (তিব্বত), পূর্বে মিয়ানমার, দক্ষিণে অসম এবং পশ্চিমে ভুটানের সাথে সীমান্ত ভাগ করে।
  • ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য: এই রাজ্যটি প্রধানত পাহাড়ি এলাকা নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে রয়েছে হিমালয়ের অংশ। এটি 'সূর্যোদয়ের ভূমি' নামেও পরিচিত।
  • জনগোষ্ঠী ও সংস্কৃতি: এখানে ২০টিরও বেশি প্রধান নৃগোষ্ঠী এবং আরও অনেক ছোট নৃগোষ্ঠী বাস করে। অরুণাচল প্রদেশে বিভিন্ন আদিবাসী সংস্কৃতি এবং জীবনধারা লক্ষ্য করা যায়। এখানকার বাসিন্দারা সাধারণত বিভিন্ন নৃত্য, সঙ্গীত এবং হস্তশিল্পের জন্য বিখ্যাত।
  • অর্থনীতি: রাজ্যটির অর্থনীতি মূলত কৃষি, বনজ পণ্য এবং হস্তশিল্পের উপর নির্ভরশীল। এছাড়া হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্টগুলিও রাজ্যের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে।

2. অসম

  • অবস্থান ও সীমানা: অসম রাজ্যটি ভারতের উত্তর-পূর্বের কেন্দ্রে অবস্থিত। এর সীমানা পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে ভুটান এবং অরুণাচল প্রদেশ, পূর্বে নাগাল্যান্ড এবং মণিপুর, দক্ষিণে মেঘালয়, ত্রিপুরা, এবং মিজোরাম রাজ্যের সাথে যুক্ত।
  • ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য: এই রাজ্যের মাটিতে ব্রহ্মপুত্র নদীর প্রবাহিত হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। অসমের ভূপ্রকৃতিতে উর্বর সমতলভূমি, বনাঞ্চল এবং পাহাড়ি অঞ্চল রয়েছে।
  • জনগোষ্ঠী ও সংস্কৃতি: অসমে বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে প্রধানত অসমীয়া, বাঙালি, বোড়ো, মিশিং ইত্যাদি নৃগোষ্ঠীর মানুষ রয়েছে। ভাওনা, বিহু, সত্ত্রীয়া নৃত্যসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য রাজ্যটি পরিচিত।
  • অর্থনীতি: অসম ভারতের প্রধান চা উৎপাদনকারী রাজ্য এবং এখানকার অর্থনীতি চা শিল্প, পেট্রোলিয়াম, এবং বনজ পণ্যের উপর নির্ভরশীল।
Seven Sisters বা ভারতের সাতটি রাজ্য

3. মণিপুর

  • অবস্থান ও সীমানা: মণিপুর পূর্বে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এবং পশ্চিমে আসামের সাথে যুক্ত।
  • ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য: মণিপুরের ভূমি পাহাড়, উপত্যকা এবং হ্রদ নিয়ে গঠিত। এখানে লোকটাক হ্রদ অবস্থিত, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় হ্রদ।
  • জনগোষ্ঠী ও সংস্কৃতি: মণিপুরের প্রধান জনগোষ্ঠী হল মেইতেই, যারা রাজ্যের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী। এছাড়া নাগা, কুকি, এবং অন্যান্য উপজাতি গোষ্ঠীর মানুষ এখানে বাস করে। এখানকার মণিপুরি নৃত্য এবং মার্শাল আর্ট 'থাংটা' বিখ্যাত।
  • অর্থনীতি: মণিপুরের অর্থনীতি কৃষি, বোনা কাপড়, এবং হস্তশিল্পের উপর নির্ভরশীল।

4. মেঘালয়

  • অবস্থান ও সীমানা: মেঘালয় পশ্চিমে অসম এবং দক্ষিণে বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত।
  • ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য: রাজ্যটি পাহাড়ি এবং ঘন বনাঞ্চল নিয়ে গঠিত। চেরাপুঞ্জি এবং মাউসিনরাম পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।
  • জনগোষ্ঠী ও সংস্কৃতি: মেঘালয়ের প্রধান জনগোষ্ঠী হল খাসি, গারো, এবং জৈন্তিয়া। এখানকার সংস্কৃতি এবং জীবনধারা খুবই বৈচিত্র্যময় এবং ঐতিহ্যবাহী।
  • অর্থনীতি: রাজ্যটির অর্থনীতি মূলত কৃষি, বনজ পণ্য, এবং পর্যটনের উপর নির্ভরশীল।

5. মিজোরাম

  • অবস্থান ও সীমানা: মিজোরাম পূর্বে মিয়ানমার, দক্ষিণে এবং পশ্চিমে বাংলাদেশ এবং উত্তরে ত্রিপুরা, আসাম, এবং মণিপুরের সাথে সীমানা ভাগ করে।
  • ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য: মিজোরামের ভূপ্রকৃতিতে পাহাড়, উপত্যকা, এবং নদী রয়েছে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং অরণ্য রাজ্যটিকে বিশেষ আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
  • জনগোষ্ঠী ও সংস্কৃতি: মিজোরামের প্রধান জনগোষ্ঠী হল মিজো, যারা মিজো ভাষায় কথা বলে। এখানকার নৃত্য, গান এবং পোশাক তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
  • অর্থনীতি: মিজোরামের অর্থনীতি প্রধানত কৃষি এবং হস্তশিল্পের উপর নির্ভরশীল। এছাড়া বেত এবং বাঁশের তৈরি সামগ্রী এখানকার অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করে।

6. নাগাল্যান্ড

  • অবস্থান ও সীমানা: নাগাল্যান্ড পূর্বে মিয়ানমারের সীমান্তে এবং উত্তরে অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সাথে যুক্ত।
  • ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য: নাগাল্যান্ডের ভূপ্রকৃতিতে পাহাড়, উপত্যকা, এবং ঘন বনাঞ্চল রয়েছে। এখানকার জলবায়ু মূলত শীতল এবং মনোরম।
  • জনগোষ্ঠী ও সংস্কৃতি: নাগাল্যান্ডে প্রধানত ১৬টি প্রধান নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী বাস করে, যাদের মধ্যে প্রধান হল নাগা। এখানকার হর্ণবিল উৎসব বিখ্যাত, যা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনপ্রিয়।
  • অর্থনীতি: রাজ্যটির অর্থনীতি মূলত কৃষি, বনজ পণ্য, এবং হস্তশিল্পের উপর নির্ভরশীল।

7. ত্রিপুরা

  • অবস্থান ও সীমানা: ত্রিপুরা পশ্চিমে, উত্তরে এবং দক্ষিণে বাংলাদেশের সাথে সীমানা ভাগ করে এবং পূর্বে আসামের সাথে যুক্ত।
  • ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য: রাজ্যটির ভূপ্রকৃতিতে পাহাড়, উপত্যকা, এবং নদী রয়েছে। এখানকার জলবায়ু উষ্ণ এবং আর্দ্র।
  • জনগোষ্ঠী ও সংস্কৃতি: ত্রিপুরার প্রধান জনগোষ্ঠী হল ত্রিপুরী, বাঙালি, এবং অন্যান্য উপজাতি গোষ্ঠী। এখানকার গোমতি নদী এবং উজন্তা পাহাড়ের মধ্যে অবস্থিত প্রাচীন মন্দির ত্রিপুরার একটি প্রধান ঐতিহ্য।
  • অর্থনীতি: ত্রিপুরার অর্থনীতি মূলত কৃষি, বনজ পণ্য, এবং চা শিল্পের উপর নির্ভরশীল। এছাড়া বেত, বাঁশ, এবং কাঠের কাজ ত্রিপুরার হস্তশিল্প শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছে।

উপসংহার: 'Seven Sisters' (সাত বোন) নামকরণটি শুধু ভৌগোলিক অবস্থান দ্বারা নয়, বরং এই সাতটি রাজ্যের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং অর্থনৈতিক সংযোগের প্রতিফলন। তারা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অপরিহার্য অংশ এবং তাদের বৈচিত্র্যময়তা ভারতের ঐক্যের প্রতীক। এই অঞ্চলের সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, এবং ইতিহাস এটি দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় অঞ্চল করে তুলেছে।

 

বাংলাদেশে  'Seven Sisters'  নিয়ে আলোচনার কারণ

বাংলাদেশে 'Seven Sisters' বা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য নিয়ে আলোচনার কয়েকটি প্রধান কারণ রয়েছে:

1. ভৌগোলিক এবং ঐতিহাসিক সংযোগ:

  • বাংলাদেশের সীমানা ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের (বিশেষ করে ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম) সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের সীমানা ত্রিপুরা এবং মিজোরামের সঙ্গে, এবং সিলেট বিভাগের সীমানা মেঘালয় ও আসামের সঙ্গে মিলে যায়। ঐতিহাসিকভাবে, বাংলাদেশ ও এই রাজ্যগুলির জনগণের মধ্যে সংস্কৃতি, ভাষা এবং আদিবাসী জীবনের মিল রয়েছে। যেমন, সিলেটের সঙ্গে আসাম ও মেঘালয়ের সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত মিল বিদ্যমান।

2. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ:

  • ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের গুরুত্ব রয়েছে। এই রাজ্যগুলির জন্য বাংলাদেশ একটি 'ভূকৌশলগত প্রবেশদ্বার' হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ তারা এই অঞ্চলের বাণিজ্য এবং যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল। উদাহরণস্বরূপ, ভারত-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তির মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি বাংলাদেশে পণ্য পরিবহন করতে পারে, যা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

3. অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুযোগ:

  • উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য অংশীদার। বাংলাদেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করার সুযোগ রয়েছে এই অঞ্চলে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, খাদ্যপণ্য, এবং অন্যান্য সামগ্রীগুলি এই রাজ্যগুলিতে সরবরাহ করা যেতে পারে, এবং উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে কৃষিজাত পণ্য ও বনজ সামগ্রী বাংলাদেশে আমদানি করা যেতে পারে।

4. পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়:

  • উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়। বাংলাদেশের পর্যটকেরা এই অঞ্চলে ভ্রমণ করতে আগ্রহী, এবং একইভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের জনগণ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থান পরিদর্শন করতে আগ্রহী।

5. সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গ:

  • সীমান্ত নিরাপত্তা এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত কিছু বিষয়ও বাংলাদেশের সাথে যুক্ত। কিছু সময়ে, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি থেকে মানুষ বাংলাদেশে অভিবাসিত হয়েছে, এবং এর ফলে কিছু সামাজিক এবং রাজনৈতিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। দুই দেশের সরকার এই ধরনের ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে থাকে।

6. ভূকৌশলগত গুরুত্ব:

  • উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যগুলি চীন, মিয়ানমার, ভুটান এবং বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিকটবর্তী। এই অঞ্চলটি কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এই কারণগুলির মাধ্যমে বোঝা যায় কেন বাংলাদেশে 'Seven Sisters' (সাত বোন) নিয়ে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

রুপকথার সাত বোন

ভারতের সাতটি অঙ্গরাজ্য

সার্কভুক্ত সাতটি দেশ

সাতটি দেশ

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান

786
786
common.please_contribute_to_add_content_into স্ক্যান্ডিনেভিয়ান.
common.content

ইন্দোচীন

838
838
common.please_contribute_to_add_content_into ইন্দোচীন.
common.content

সাবেক চেকোশ্লোভাকিয়া

809
809
common.please_contribute_to_add_content_into সাবেক চেকোশ্লোভাকিয়া.
common.content

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন

915
915
common.please_contribute_to_add_content_into সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন.
common.content

গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল

767
767
common.please_contribute_to_add_content_into গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল.
common.content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

মায়ানমার, থাইল্যান্ড, চীন
মায়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস
মায়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া
ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান

গোল্ডেন ক্রিসেন্ট

784
784
common.please_contribute_to_add_content_into গোল্ডেন ক্রিসেন্ট.
common.content

গোল্ডেন ওয়েজ

739
739
common.please_contribute_to_add_content_into গোল্ডেন ওয়েজ.
common.content

গোল্ডেন ভিলেজ

768
768
common.please_contribute_to_add_content_into গোল্ডেন ভিলেজ.
common.content

খণ্ডিত দ্বীপ রাষ্ট্র

825
825
common.please_contribute_to_add_content_into খণ্ডিত দ্বীপ রাষ্ট্র.
common.content

ছিদ্রায়িত রাষ্ট্র

730
730
common.please_contribute_to_add_content_into ছিদ্রায়িত রাষ্ট্র.
common.content

বাল্টিক রাষ্ট্র

698
698
common.please_contribute_to_add_content_into বাল্টিক রাষ্ট্র.
common.content

থ্রি টাইগারস

884
884
common.please_contribute_to_add_content_into থ্রি টাইগারস.
common.content

ফোর টাইগারস

744
744
common.please_contribute_to_add_content_into ফোর টাইগারস.
common.content

সুপার সেভেন

790
790
common.please_contribute_to_add_content_into সুপার সেভেন.
common.content

ইস্ট এশিয়ান মিরাকল

729
729

ইস্ট এশিয়ান মিরাকল দেশ ৮টি। যথা: ১. জাপান ২. সিঙ্গাপুর ৩. তাইওয়ান ৪. দক্ষিণ কোরিয়া ৫. হংকং ৬. থাইল্যান্ড ৭.মালয়েশিয়া ৮. ইন্দোনেশিয়া। 

পারস্য উপসাগরীয় রাষ্ট্র

670
670
common.please_contribute_to_add_content_into পারস্য উপসাগরীয় রাষ্ট্র.
common.content

বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা

707
707
common.please_contribute_to_add_content_into বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা.
common.content

ওয়াল স্ট্রিট- wall street

888
888
common.please_contribute_to_add_content_into ওয়াল স্ট্রিট- wall street.
common.content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বিভিন্ন দেশের সীমানা

682
682
common.please_contribute_to_add_content_into বিভিন্ন দেশের সীমানা.
common.content

শ্রীলংকার সংকট

819
819

২০১৯-২০২২ সালে শ্রীলংকার অর্থনৈতিক সংকট দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকায় চলমান একটি অর্থনৈতিক সংকট, যার কারণে অভূতপূর্ব মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার প্রায় সম্পূর্ণ নিঃশেষ, চিকিৎসা দ্রব্য সরবরাহে ঘাটতি এবং মৌলিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির মতো ঘটনাগুলির সৃষ্টি হয়েছে। ঐ সমরো ক্ষমতাসীন সরকারের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাকে মূলত এই সংকটের জন্য দায়ী করা হয়েছে। কর হ্রাস, টাকা সৃষ্টি, দেশব্যাপী জৈব পদ্ধতিতে কৃষিকাজ প্রবর্তন ২০১৯ সালের স্টার সানডের বোমা হামলা, করোনাভাইরাসের আঘাত, ইত্যাদি বহুসংখ্যক কারণ মিলে এই সংকটটির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সংকটের কারণে যে অর্থনৈতিক দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, তার জের ধরে ২০২২ সালে আসে রাষ্ট্রটির ইতিহাসের বৃহত্তম সরকার-বিরোধী আন্দোলন সংঘটিত হয়। শ্রীলংকাকে সার্বভৌম ঋণখেলাপের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে, কেননা ২০২২ সালের মার্চ মাসে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ছিল মাত্র ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার, যা দিয়ে ২০২২ সালে। দেশটির ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের কোনও সম্ভাবনা নেই। সব মিলিয়ে ২০২২ সালে শ্রীলংকাকে দেশী ও বিদেশী ঋণ মিলিয়ে সব মিলিয়ে ৮৬০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ পরিশোধ করার কথা ছিল। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে শ্রীলংকার সরকার ঋণখেলাপি (দেওলিয়া) হিসেবে নিজেদের ঘোষণা দেয়, যা ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পরে এইরূপ ঋণখেলাপির সর্বপ্রথম ঘটনা। শ্রীলংকার ক্ষুব্ধ জনতা রাজা পাকসে সরকারের পতন ত্বরান্বিত করে।

-Gk Booster 

common.content_added_by

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ

1k
1k

রুশ-ইউক্রেনীয় ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের (ইউএসএসআর) পরে, ইউক্রেন ও রাশিয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। ইউক্রেন ১৯৯৪ সালে একটি অ-পারমাণবিক অস্ত্র রাষ্ট্র হিসাবে পারমাণবিক অস্ত্রের অপসারণ সংক্রান্ত চুক্তিতে যোগ দিতে সম্মত হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রাক্তন সোভিয়েত পারমাণবিক অস্ত্রসমূহ রাশিয়ায় সরিয়ে ফেলা হয়েছিল এবং নষ্ট করা হয়েছিল। বিনিময়ে, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা আশ্বাসের বুদাপেস্ট মেমোরেন্ডামের মাধ্যমে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছিল। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত, ২০১৪ সালে যখন রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দ্বীপটি দখল করে তখন থেকে। ক্রিমিয়া দখলের ফলে জি-৮ জোট থেকে রাশিয়াকে বের করে দেয়। ক্রিমিয়ার পার্লামেন্ট দখলের পর রাশিয়া কর্তৃক আয়োজিত ব্যাপকভাবে সমালোচিত স্থানীয় গণভোটের পর রাশিয়া ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করে, যেখানে স্বায়ত্তশাসিত ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের জনগণ রুশ ফেডারেশনে যোগদানের পক্ষে ভোট দেয়। উল্লেখ্য যে, ইউক্রেনে পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা যুক্তরাষ্ট্রপন্থী আর পূর্বাঞ্চলীয় ডোনবাস রাশিয়াপন্থী। পুতিন বলেছেন যে উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো) ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে পূর্ব দিকে সম্প্রসারণ করে রাশিয়ার নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে । তাই ইউক্রেনকে জোটে যোগদানে নিষেধ করে আসছে। সাম্প্রতিক ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে চাইলে, রাশিয়া স্বঘোষিত গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক ও গণপ্রজাতন্ত্রী লুহানস্কে ২০২২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি দেয়, দোনবাসের দুটি স্ব- ঘোষিত রাষ্ট্র রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করে। রাশিয়ার কর্তৃক ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেন আক্রমণ শুরু হয়। রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেনের দুটি বিদ্রোহী অঞ্চল (ক্রিমিয়া ও দোনবাস) থেকে বহুমুখী আক্রমণ শুরু হয়েছিল। চারটি প্রধান সামরিক আক্রমণের ফ্রন্ট গড়ে উঠেছে: কিয়েভ আক্রমণ, উত্তর-পূর্ব ইউক্রেন আক্রমণ, পূর্ব ইউক্রেন আক্রমণ ও দক্ষিণ ইউক্রেন আক্রমণ। রুশ বাহিনী খারকিড, খেরসন, কিয়েভ, মারিউপোল ও সুমি সহ পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাস দখলে রেখেছে।

common.content_added_by

কাতালোনিয়া

755
755

কাতালুনিয়া দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের রাষ্ট্রে স্পেনে অবস্থিত একটি স্বায়ত্বশাসিত সম্প্রদায় ও ঐতিহাসিক অঞ্চল। হিরোনা, বার্সেলোনা, তারাগোনা এবং ইয়েইদা নামক চারটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত। ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত বার্সেলোনা কাতালুনিয়ার রাজধানী নগরী। উত্তরে পিরিনীয় পর্বতমালাটি কাতালুনিয়াকে ফ্রান্স থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। কাতালোনিয়ায় স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় একটি স্বশাসিত বর্তমানে অঞ্চলটি স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা দাবি করছে। ১ অক্টোবর, ২০১৭ স্বাধীনতার প্রশ্নে সেখানে একটি বিতর্কিত গণভোট অঞ্চল । রাজধানী বার্সেলোনা। অনুষ্ঠিত হয়। গণভোটের রায় স্বাধীনতার পক্ষে আসলে ২৭ অক্টোবর, ২০১৭ ক্যাটালন পার্লামেন্ট একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। কিন্তু এই ঘোষণা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়। 

common.content_added_by

কুর্দিস্থান

797
797

 কুর্দি মধ্যপ্রাচ্যের একটি নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। কুর্দিস্থান বলতে তুরস্ক, ইরান, ইরাক ও সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলকে বোঝায়। ১৯৭০ এর দশকে কুর্দিস্তান এলাকা নিয়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কুর্দিরা কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি (কুর্দি ভাষায়: Partiya Karkeren Kurdistane PKK) গঠন করে।

common.content_added_by

বুগেনভিল

803
803

বুগেনভিল ১৯১৪ সালে রুগেনভিল দখলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় সলোমন দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম দ্বীপ রুগেনভিল। ১৯৭৫ সালে পাপুয়া নিউগিনি অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করলেও ভৌগোলিকভাবে বুগেনভিল পাপুয়া নিউগিনির একটি প্রদেশে পরিণত হয়। বুগেনভিলের রাজধানীর নাম বুকা। ৯ বছরেরও অধিকসময় রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ আর পরবর্তী ধারাবাহিক শাস্তি প্রক্রিয়ার পর ২০০৫ সালে বুগেনভিলে স্বায়ত্তশাসিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। অধিক স্বায়ত্তশাসন নাকি স্বাধীনতা এই প্রশ্নে ২০১৯ সালে বুগেনভিলে গণভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং জনগন স্বাধীনতার পক্ষে রায় দেয়।

common.content_added_by

মিন্দানাও

726
726

মিন্দানাও দ্বীপ ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপপুঞ্জের মাঝে অবস্থিত। মিন্দানাওয়ের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল বাংসামরো। এই অঞ্চলের বাসিন্দারা প্রধানত মরো (মুসলিম) জাতির। বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালে ফিলিপাইন স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পরপরই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে একটি পৃথক ভূখণ্ড গঠনের দাবি করে মরোরা। মূলত, মরোরা লড়াকু আর স্বাধীনচেতা প্রকৃতির। মরোদের দীর্ঘ সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয় Moro Islamic Liberation Front (MILF) এবং Moro National Liberation Front (MNLF) নামক গেরিলা সংগঠন। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অবশেষে ২০১৯ সালে এক গণভোটের মাধ্যমে অঞ্চলটিতে স্বায়ত্তশাসন কার্যকর হয়। মরোদের একটির অন্তবর্তীকালীন সরকার অঞ্চলটির দায়িত্বভার গ্রহণ করে তবে কট্টরপন্থী উপগোষ্ঠী আবু সায়েফ (Abu Sayyat) শান্তি প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করে এখনও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

common.content_added_by

কারেন

736
736

কারেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী মায়ানমারের সবচেয়ে প্রাচীন উগ্র গোষ্ঠী। ১৯৪৮ সালে বার্মার স্বাধীনতার পরে কারেন প্রদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম শুরু করে কারেন বিদ্রোহীরা। পরবর্তীতে তারা স্বাধীনতার দাবি হতে সামান্য সরে গিয়ে স্বায়ত্তশাসনের জন্য সংগ্রাম চলমান রেখেছে।

ত্রিপুরা : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের একটি গেরিলা সংগঠন NLFT (National Liberation Front of Tripura) আসাম : ভারতের আসাম রাজ্যের একটি গেরিলা সংগঠনের নাম উলফা (ULFA United Liberation Front of Assam) বর্তমানে উলফার প্রধান পরেশ বড়ুয়া। সংগঠনটি আসামের স্বাধীনতা দাবি করে আসছে।

common.content_added_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion