তৃতীয় অধ্যায়
(যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও)
ঘটনা-১: আলমগীর হোসেন একজন ইউপি মেম্বর। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনায় তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তার ওয়ার্ডের উন্নয়ন ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় স্থানীয় জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেন। যে কারণে যুবক ও বয়স্কদের সমন্বয়ে একটি উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটি গঠন করেছেন। ফলে ওয়ার্ডের অধিবাসীদের অভিযোগ ও পরামর্শ মোতাবেক এলাকার সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে আসছে এবং জনপ্রতিনিধি হিসাবে তার জনসমর্থন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঘটনা-২: ইউনুছ মিয়া উমিরপুর উপজেলার চেয়ারম্যান। জনহিতৈষী চেয়ারম্যান হিসেবে তার অনেক সুনাম রয়েছে। তার প্রাত্যহিক দায়িত্বের বাইরে তিনি প্রায় প্রতিটি বাড়ির খোঁজ-খবর রাখেন। অসুস্থ, বয়স্ক, প্রসূতি মা অথবা বিপদগ্রস্ত মানুষের আস্থার প্রতীক তিনি। তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে এলাকার যুবক ও নারীদের কল্যাণে বাবার সাথে একাত্ব হয়ে কাজ করেন।
ঘটনা-১: আব্বাসীয় খলিফা হারুন-অর-রশীদ তৎকালীন সময়ে জনগণের পানির কষ্ট দূর করার জন্য কৃষিকাজে সেচের সুবিধার জন্য একটি কূপ খনন করেন। ইতিহাসে এটি নহর-ই-জুবাইদা নামে পরিচিত। এটি খনন করতে গিয়ে তিনি কোন রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় না করে বরং নিজ অর্থায়নে কূপটি খনন করেছিলেন। এতে খলিফার দানশীল মনোভাব এর পরিচয় পাওয়া যায়।
ঘটনা-২: আব্দুল কাইউম এ.আর কোম্পানির উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর কোম্পানির উন্নয়নে অনেক পরিশ্রম করতেন। একসময় কোম্পানিতে কিছু কর্মীর প্রয়োজনীয়তা দেখে দিলে তিনি এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ দেন। ঘটনাক্রমে কর্মীদের মধ্যে অধিকাংশই তার পরিচিত, বন্ধু ও আত্মীয় ছিল। তাই সাধারণ কর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাকে পদচ্যুত করার জন্য বিদ্রোহের ঘোষণা দেয়।